Tuesday, October 4, 2011

সাইসমোমিটার

ভূমিকম্পের প্রচণ্ডতা, স্থায়িত্ব শনাক্ত ও পরিমাপের যন্ত্রসমষ্টিকে সাইসমোমিটার বলা হয়। রিখটার স্কেলের মাধ্যমে ভূকম্পনের মাত্রা প্রকাশ করা হয়। সাইসমোমিটার বলতে সাধারণত মাত্রা পরিমাপ করার যন্ত্র সাইসমোগ্রাফকেই বোঝানো হয়। অন্যদিকে, সাইসমোস্কোপ শুধু ভূকম্পন শনাক্তকরণে আগে ব্যবহার করা হতো। ১৩২ খ্রিষ্টাব্দে চীনা জ্যোতির্বিদ, গণিতবিদ ঝাঙ হেঙ প্রথম সাইসমোস্কোপ উদ্ভাবন করেন। তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রের নাম ছিল ‘হউফেং ডিডং ই’। তিনি মৌসুমি বায়ু ও পৃথিবীর গতি পরিমাপের জন্য দুই মিটার ব্যাসের ব্রোঞ্জের তৈরি এই যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। ১৮৮০ সালে ব্রিটিশ গবেষকেরা আধুনিক সাইসমোমিটার উদ্ভাবন করেন। জাপানে কর্মরত ব্রিটিশ গবেষক ও ভূতত্ত্ববিদ জন মাইন, জেমস আলফ্রেড ইউইং ও প্রকৌশলী থমাস গ্রে আধুনিক সাইসমোমিটার উদ্ভাবনে একই সঙ্গে কাজ করে গেছেন। তাঁরা ‘অনুভূমিক পেন্ডুলাম সাইসমোমিটার’ উদ্ভাবন করেন। জন মাইন ও থমাস গ্রে সাইসমোমিটারের সাহায্যে ভূকম্পনের তরঙ্গবেগ পরিমাপ নিয়ে গবেষণা করেন। জেমস ইউইং ভূকম্পনের চৌম্বক ও তড়িৎ তীব্রতা নির্ণয়ের ওপর গবেষণা করেন। ১৯০৬ সালে রুশ বিজ্ঞানী বরিস গ্যালিৎজিন প্রথম ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সাইসমোগ্রাফ উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে টেলিসাইসমোমিটার, স্ট্রংমোশন সাইসমোমিটার বা অ্যাকরেলোগ্রাফ, জিওফোন নামের আধুনিক সাইসমোমিটার ভূকম্পন শনাক্ত ও তীব্রতা নির্ধারণে ব্যবহূত হয়ে থাকে।

No comments:

Post a Comment