Sunday, August 19, 2012

Dijkstra Algorithm


 
#include
#include
#define inf 1000000000
#define SIZE1 20000
#define SIZE2 50000
using namespace std;
typedef vectorgraph;
long Q[SIZE1+9],d[SIZE1+9],positionOf[SIZE1+9];
graph G[SIZE2*2+9],W[SIZE2*2+9];
//posiotionOf[]= posiontion of one node in Q[] or tree
//Q[] is a tree or collection of nodes in priority sequences.
//d[]= the minimum values to reach in nodes. 

int min_heapify(long i,long n){
	long temp,minimum,l,r;
	l=2*i;
	r=2*i+1;
	if(l<=n && d[Q[l]]d[Q[i]]){
			temp=Q[i/2];
			Q[i/2]=Q[i];
			Q[i]=temp;		
			positionOf[Q[i]]=i;
			positionOf[Q[i/2]]=i/2;		
			i=i/2;
		}
		else
			break;		
	}
	return 0;
}
int main(){
	long i,j,n,m,u,v,w,source,dest,t;	
	scanf("%ld",&t);
	for(j=1;j<=t;j++){		
		scanf("%ld%ld%ld%ld",&n,&m,&source,&dest);
		for(i=1;i<=n;i++){
			G[i].clear();
			W[i].clear();
			d[i]=inf;
			Q[i]=i;
			positionOf[i]=i;
		}
		for(i=1;i<=m;i++){
			scanf("%ld%ld%ld",&u,&v,&w);
			G[u+1].push_back(v+1);
			G[v+1].push_back(u+1);
			W[u+1].push_back(w);
			W[v+1].push_back(w);
		}		
		d[source+1]=0;update_min_heap(source+1);
		while(n>0)
		{
			u=extract_min_Q(n);
			n--;
			for(v=0;v1)
					{
						update_min_heap(positionOf[G[u][v]]);
					}

				}
			}			
		}		
		if(d[dest+1]==inf)
			printf("Case #%ld: unreachable\n",j);
		else
			printf("Case #%ld: %ld\n",j,d[dest+1]);
	}
	return 0;
}

About This Blog

This Blog is only for myself.

Wednesday, August 15, 2012

প্রজাপতির অস্বাভাবিক পরিবর্তন


জাপানে তেজস্ক্রিয় পদার্থের মিশ্রণের প্রভাব পড়েছে পরিবেশের ওপর। দেশটিতে বিকারগ্রস্ত প্রজাপতির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ফুকুশিমা পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর সংগৃহীত প্রজাপতি গবেষণা করে এর প্রমাণ মিলেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রজাপতির অস্বাভাবিক পরিবর্তন। বৃদ্ধি পেয়েছে বিকারগ্রস্ত পা, শুঙ্গ ও পাখার সংখ্যা। আর বিকারগ্রস্ত এসব প্রজাপতির সঙ্গে তেজস্ক্রিয় পদার্থের সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণার ফল সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়েছে।২০১১ সালের মার্চে ভয়াবহ সুনামির জেরে ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিপর্যয়ের পরপরই ওই এলাকায় শুককীট (প্রজাপতির জীবন চক্রের প্রথম পর্যায়) অবস্থায় শতকরা ১২ ভাগ প্রজাপতির মধ্যে অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। ঘটনার দুই মাস পর জাপানি গবেষকেরা ফুকুশিমাসহ ১০টি স্থান থেকে একটি নির্দিষ্ট প্রজাপতির ১৪৪টি প্রাপ্তবয়স্ক প্রজাপতি সংগ্রহ করেন। দুর্ঘটনার সময় জীবনচক্রের প্রথম ধাপে ছিল সাধারণত এমন প্রজাপতিই সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, তেজস্ক্রিয় পদার্থের প্রভাব বেশি পড়েছে—এমন এলাকার প্রজাপতির পাখা তুলনামূলক অনেক ছোট এবং এর চোখের বৃদ্ধিও ঘটেছে অসমভাবে।দুর্ঘটনার ছয় মাস পর আবার ওই ১০টি স্থান থেকে প্রজাপতি সংগ্রহ করা হয়। এগুলো গবেষণা করে দেখা যায়, ফুকুশিমা থেকে সংগৃহীত প্রজাপতির বিকারের মাত্রা দুর্ঘটনার দুই মাস পর সংগ্রহ করা প্রজাপতির বিকারের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। গবেষক দলের প্রধান ওকিনাওয়ার ইউনিভার্সিটি অব রিউকিউসের অধ্যাপক জজি ওতাকি বলেন, ‘এটা সব সময়ই ধরে নেওয়া হতো যে, কীটপতঙ্গ হচ্ছে তেজস্ক্রিয় প্রতিরোধকারী। ওই ধারণা অনুযায়ী, আমাদের গবেষণার ফল হয়েছে অপ্রত্যাশিত।’গবেষকেরা বলেন, দূষিত খাদ্যের ফলে প্রজাপতির বিকার হয়েছে। অথচ এসব প্রজাপতির পূর্ববর্তী প্রজন্মে এ ধরনের কোনো বিকার ছিল না।গবেষক দলটি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই নির্দিষ্ট প্রজাতির প্রজাপতি নিয়ে গবেষণা করছেন। পরিবেশগত পরিবর্তন এই প্রজাতির ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। নতুন গবেষণার মাধ্যমে এটাই প্রতীয়মান হয়েছে, প্রাণীকূলের ওপর ফুকুশিমা দুর্ঘটনার প্রভাব এখনো পড়ছে। তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা কমে এলেও প্রাণীকূল প্রভাবিত হচ্ছে। বিবিসি।

Tuesday, August 7, 2012

মঙ্গলে নামল কিউরিওসিটি

অবশেষে সব উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলে নামল নাসার রোবট যান রোভার কিউরিওসিটি। গতকাল সোমবার গ্রিনিচ মান সময় ভোর পাঁচটা ৩২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টা) লাল গ্রহটিতে সফলভাবে অবতরণ করে মাকড়সা আকৃতির এ যানটি।  
মঙ্গল গবেষণার ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত নাসার বিজ্ঞানীদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। রোবট যানটির ওজন প্রায় এক টন। এই প্রথম নাসা এত বেশি ওজনের যান কোনো গ্রহে সফলভাবে নামাতে সক্ষম হলো। 
কিউরিওসিটির মঙ্গলে অবতরণ নিয়ে উৎকণ্ঠ ছিল নাসার বিজ্ঞানীদের মধ্যে। তাই কিউরিওসিটির অবতরণের ঘোষণার পর মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। প্রধান বিজ্ঞানীরা ‘মার্স চকোলেট’ বার নাসার কর্মীদের মধ্যে বিতরণ করেন। 
নাসার প্রশাসক চার্লস বোল্ডেন বলেন, ‘আমরা আবারও মঙ্গলে—এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য! এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। 
কিউরিওসিটির পাঠানো প্রথম ছবিটি ধূসর। তাতে রোভারের চাকা মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করার দৃশ্য দেখা গেছে। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দ্বিতীয় ছবি পাঠায় রোভার, তাতে রয়েছে মঙ্গলে রোভারের ছায়া। 
মঙ্গলের আবহাওয়া মন্ডলে প্রবেশের আগ মুহূর্তে মহাকাশ যানটির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩ হাজার ২০০ মাইল। প্রথমে সুপারসনিক প্যারাসুটের সাহায্যে গতি কমানো হয়। পরে গতি আরো নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর ক্রেনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ছয় চাকায় ভর করে ভূমিতে নামে রোভার। এ সময় এটির গতি ছিল সেকেন্ডে মাত্র শূন্য দশমিক ৬ মিটার। অবতরণের জন্য আগেই গিরিখাদ গেইল কার্টার বেছে নেওয়া হয়েছিল। এখানে অতীতে পানি থাকার অনেক চিহ্ন পাওয়া গেছে। আগামী দুই বছর কিউরিওসিটি গিরিখাদের তলা থেকে ধীরে ধীরে ওপরে উঠবে। এটি পাথুরে ভূমি খুঁড়ে দেখবে, সেখানে প্রাণের বিকাশের কোনো পরিবেশ আছে কি না। 
মঙ্গলে অবস্থানকালে পারমাণবিক শক্তিতে চলবে কিউরিওসিটি। এটি নানা বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিতে ঠাসা। আছে ক্যামেরা, আবহাওয়া নিরীক্ষণ কেন্দ্র, শক্তিশালী ড্রিলসহ রোবটিক হাত, দূর থেকে পাথর চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে সক্ষম লেজার, রাসায়নিক গবেষণাগার ও বিকিরণ মাপার যন্ত্র। 
কিউরিওসিটি মঙ্গলে মানুষ কিংবা জীবের অস্তিত্ব খুঁজে পাবে—এমনটা প্রত্যাশা করছেন না বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁরা আশা করছেন, এটির সাহায্যে মঙ্গলের মাটি ও পাথর গবেষণা করে তাঁরা জানতে পারবেন, সেখানে অতীতে প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল কি না। এ ছাড়া ভবিষ্যতে মানুষের যাওয়ার উপযোগী পরিবেশ আছে কি না, তা-ও গবেষণা করে দেখা হবে। 
২০১১ সালের নভেম্বর মাসে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভারেল থেকে যাত্রা শুরু করে কিউরিওসিটি। সাড়ে আট মাসের এই অভিযানে যানটি এরই মধ্যে বিকিরণের ওপর নানা তথ্য সংগ্রহ করেছে। মঙ্গলের পথে কিউরিওসিটি ৩৫ কোটি ২০ লাখ মাইল পাড়ি দিয়েছে। ১২ বছরের প্রস্তুতি শেষে এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ২৫০ কোটি ডলার। 
১৯৬০ সাল থেকে সারা বিশ্বের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলোর মঙ্গল গ্রহে বেশির ভাগ অভিযানই ব্যর্থ হয়েছে। সফলতার হার প্রায় ৪০ শতাংশ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধূলিঝড় বা যান্ত্রিক ত্রুটির মতো প্রতিকূলতায় পড়তে হয়েছে বিজ্ঞানীদের। 
বিবিসি ও এএফপি।

ফেসবুকের ছায়াবন্ধু, নাকি সামনের কায়াবন্ধু


ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল আমাকে একট গল্প শুনিয়েছেন। গল্প নয়, সত্য ঘটনা। চীনের এক দম্পতি কম্পিউটারে এক নতুন খেলা পেয়েছেন। একটা বাচ্চাকে লালন-পালন করতে হয়। তাঁরা সারাক্ষণ কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকেন। এই বাচ্চাকে খাওয়ান, পরান, গোসল করান। এই বাচ্চার প্রতি তাঁদের যত্নের সীমা নেই। তাঁরা একেবারেই মগ্ন হয়ে গেলেন। কিন্তু তাঁদের নিজেদের একটা বাচ্চা ছিল। খেলায় মগ্ন এই দম্পতি নিজেদের বাচ্চার কথা ভুলে গেলেন। একদিন দেখা গেল, বাচ্চাটা মরে পড়ে রয়েছে।

২.
জ্যাক দেরিদা রুশোর স্বীকারোক্তিমূলক আত্মজীবনী কনফেশনস থেকে উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন, প্রতীক বা বিকল্প কখনো কখনো নিজেই প্রধান হয়ে ওঠে। রুশো কৈশোরে যে বাড়িতে থাকতেন, সেই গৃহকর্ত্রীকে তিনি খুব ভালোবাসতেন। সেই ম্যাডাম যে বিছানায় শুতেন, রুশো সেই বিছানাকে চুমু দিতেন, আদর করতেন তাঁর চেয়ারকে, মেঝেকে, পর্দাকে। কারণ, ওসব ছিল তাঁর ম্যাডামের বিকল্প। সামনে ম্যাডাম নেই, কিন্তু এসব বস্তুর মাধ্যমে রুশো তাঁর ম্যাডামের অভাব পূরণ করছেন। কিন্তু একদিন ম্যাডাম তাঁর সামনে, খাচ্ছেন। রুশো বললেন, খাবারে একটা চুল। ম্যাডাম খাবারটা মুখ থেকে বের করতেই রুশো সেই খাবার নিজের মুখে পুরলেন।
এখানে তো ম্যাডাম সামনে আছে, তাহলে কেন রুশো ম্যাডামের মুখের খাবার মুখে পুরলেন।
ম্যাডাম, যাঁকে রুশো বলতেন ম্যামান, তিনি ছিলেন রুশোর মায়ের বিকল্প। তারপর মায়ের চেয়ে ম্যাডামই মুখ্য হয়ে উঠলেন। তারপর ম্যাডামের চেয়ে বিভিন্ন বিকল্পই মুখ্য হয়ে উঠল।
দেরিদা দেখিয়েছেন, এভাবে বিকল্পই প্রধান হয়ে ওঠে।
দেরিদার বক্তব্য হলো, লেখা মুখের কথার বিকল্প নয়, পরিপূরক নয়, লেখাই আসল। টেক্সটই আসল। আমরা কি সেই যুগে প্রবেশ করলাম, যেখানে বাস্তবের চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে ভারচুয়াল বাস্তবতা, যেখানে রক্ত-মাংসের বন্ধুর চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে স্ক্রিনে দেখা (ও পড়া) ছায়াবন্ধুটি?
সুমনা শারমীন লিখেছিলেন, মা পাশের ঘরে অসুস্থ পড়ে আছেন দিন সাতেক ধরে, ছেলে একবারও তাঁকে দেখতে যায়নি, কিন্তু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে, প্রে ফর মাই মাদার, শি ইজ সিক। মাদার, গেট ওয়েল সুন।

৩.
প্রযুক্তি, যোগাযোগের বিকল্প মাধ্যমগুলো আমাদের কাছে জ্যান্ত মানুষের চেয়ে বড় হয়ে উঠছে কি না?
আমার সামনে আমার বন্ধু বসে আছেন, মা বসে আছেন, বাবা বসে আছেন, ডাক্তার বসে আছেন, এই সময় মোবাইল ফোন বেজে উঠল। আমরা সেটা আগে ধরাটাকেই কর্তব্য বলে মনে করি।
আমার জলজ্যান্ত বন্ধু সামনে বসে আছে, কিন্তু তাকে রেখে আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই, আমি এখন বন্ধুর সঙ্গে কফি খাচ্ছি। 
পাঁচজন স্কুলবন্ধু, তাঁদের দেখা হলো আজ ২২ বছর পরে, তাঁরা আজ একটা জায়গায় একত্র হচ্ছেন, কী ভীষণ উত্তেজনা তাঁদের মধ্যে। দেখা হওয়ার পরে পাঁচজনই পাঁচটা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছেন, কেউ ফেসবুক করছেন, কেউ বা গেমস খেলছেন, কেউ বা খুদেবার্তা পাঠাচ্ছেন, কেউ বা জরুরি ই-মেইল সেরে নিচ্ছেন, কেউ বা চ্যাট করছেন দূরবর্তী কারও সঙ্গে।
সামনে সমুদ্র, একটু পরে অস্ত যাবে সূর্য, সেদিকে খেয়াল নেই। আমি স্ট্যাটাস দিচ্ছি, আহ্, লাইফ ইজ বিউটিফুল, আই অ্যাম ইন আ প্যারাডাইস।
প্রেমিক দেখা করতে গেছে প্রেমিকার সঙ্গে, কোনো নির্জন জায়গায়। দুজনের হাতে দুটো মোবাইল ফোন, দুজনেই নিজ নিজ ফোন নিয়ে ব্যস্ত, সারাক্ষণ বুড়ো আঙুল চলছে।
আমি মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালাতে চালাতে একজন পথিককে এসএমএস করতে দেখেছি।
আমি বিয়ের আসরে বসা বরকে এবং বউকে দেখেছি, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

৪.
একটা কৌতুক ছিল। একজন সম্ভাব্য পাত্র ঘটককে বলল, আমি এমন একজনকে বিয়ে করতে চাই, যে কিনা আমাকে আমার ইচ্ছামতো বিনোদন দেবে, আমি চাইলে সে কথা বলা বন্ধ করবে, চাইলেই গান গাইবে, বা নাচবে, বা কথা বলবে, আবার আমি যখন চাইব তখনই সে ঘুমিয়ে পড়বে, আমি চাইলেই সে অন হবে, আমি চাইলেই সে অফ হবে।
ঘটক বললেন, ভাই, আপনি একটা টেলিভিশনকে বিয়ে করুন।
এই কৌতুককে আধুনিকায়ন করে বলা যায়, ভাই, আপনি একটা ইন্টারনেটকে বিয়ে করুন।
কিন্তু তা বলা যাবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ, আমি চাইলে ইন্টারনেট অফ হবে বটে, কিন্তু আমার চাইবার শক্তি যে থাকবে না। রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে মনে হবে, যাই না, একটু ফেসবুকটা চেক করি, দেখি না স্ট্যাটাসে কয়টা লাইক পড়ল।

৫.
এই কৌতুক আগেও শুনেছেন। আবার শুনতে পারেন, এই সময়ের শ্রেষ্ঠ কৌতুক।
গৃহপরিচারিকা কয়েক দিন বিনা নোটিশে অনুপস্থিত থাকল। তারপর কাজে ফিরে এলে গৃহকর্ত্রী তাকে বললেন, তুমি কয়েক দিন কাজে আসোনি, ব্যাপার কী?
‘দেশে গেছিলাম, আপা।’
‘দেশে গেছ। বলে যাবা না?’
‘ক্যান? আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিছিলাম, তিন দিনের জন্য বাড়ি যাচ্ছি, আপনে দেখেন নাই?’
‘ওমা! তোমার আবার ফেসবুকও আছে নাকি?’
‘কেন? আপনি জানেন না? আপনার বর তো আমার স্ট্যাটাসে কমেন্ট দিছে: মিস ইউ।’

৬.
তলস্তয়ের থ্রি কোশ্চেনস গল্পে পড়েছিলাম—
‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় কী?’
‘এখন। এই মুহূর্ত।’
‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ কী?’
‘এখন যা করছি।’
‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ কে?’
‘যিনি এখন আমার সামনে বসে আছেন।’
প্রিয় পাঠক, আমাদের মনে হয় তলস্তয়ের এই গল্পটা আরেকবার গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে। এই সময়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়, এখন যা করছি, এই কাজটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ, আর এখন যিনি আমার সামনে আছেন তিনিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। আপনার সামনে রক্ত-মাংসের যে মানুষটি আছেন, তাঁর কথাই নিশ্চয়ই তলস্তয় বলেছেন, দূরবর্তী শত শত ছায়াবন্ধুর কথা নিশ্চয়ই তিনি বোঝাতে চাননি।

আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

Friday, March 2, 2012

উইন্ডোজ ৮ বেটা সংস্করণ উন্মুক্ত

আনুষ্ঠানিকভাবে উইন্ডোজ ৮-এর পরীক্ষামূলক সংস্করণ বা বেটা সংস্করণটি উন্মুক্ত করল মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ ৭ বাজারে ছাড়ার তিন বছর পর ২৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার বাজারে ছাড়া হয়েছে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমের কনজ্যুমার প্রিভিউ।
ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট প্ল্যাটফর্মের জন্য তৈরি এ অপারেটিং সিস্টেমটি স্বল্প ক্ষমতার বা কম শক্তিতে চলে এমন মাইক্রোপ্রসেসর উপযোগী। স্পেনের বার্সেলোনায় চলমান মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ২৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার উইন্ডোজ ৮ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছেন উইন্ডোজ নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন সিনোফস্কি।

এআরএম প্রসেসর উপযোগী উইন্ডোজ ৮-এ যুক্ত হয়েছে নতুন ইউজার ইন্টারফেস, টাচ বা স্পর্শ প্রযুক্তি, স্কাইড্রাইভ, অ্যাপস্টোরসহ বেশকিছু নতুন ফিচার। অবশ্য এ সিস্টেমে মাইক্রোসফটের পুরোনো অ্যাপ্লিকেশনগুলোও চলবে। পাশাপাশি উইন্ডোজ ৮ অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপলের জন্য তৈরি অ্যাপ্লিকেশনগুলোও সমর্থন করবে। এতে আরও থাকছে টাচ কিবোর্ড। দ্রুতগতিতে টাইপ করার সুবিধার্থে উইন্ডোজ ৮-এ যুক্ত হয়েছে একাধিক ফিচার। উইন্ডোজ ৮-এ যুক্ত হয়েছে ক্লাউড পদ্ধতিও। ক্লাউড পদ্ধতিটির নাম দেয়া হয়েছে স্কাইড্রাইভ।
মাইক্রোসফটের দীর্ঘদিনের ব্যবহূত উইন্ডোজের লোগোতে পরিবর্তন এসেছে উইন্ডোজ ৮-এর ডিসপ্লেতে। এ ছাড়া মেট্রো নামের নতুন একটি ইন্টারফেসও যুক্ত হয়েছে। মেট্রো হচ্ছে- উইন্ডোজ ৭-এ থাকা টাইলসভিত্তিক ইন্টারফেসের মত। এতে প্রথাগত অ্যাপ্লিকেশন মেন্যুর পরিবর্তে হোমস্ক্রিন থেকে অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায়।
২০১১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিল্ড ডেভেলপার্স কনফারেন্সে উইন্ডোজ ৮ বিষয়ে তথ্য দিয়েছিলেন স্টিভেন সিনোফস্কি। সে অনুষ্ঠানে ফেব্রুয়ারিতে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমের বেটা সংস্করণ বাজারে ছাড়ার তথ্য জানিয়েছিলেন তিনি।
উইন্ডোজ ৮ কনজ্যুমার প্রিভিউ-এর বেটা সংস্করণ বিনা মূল্যেই ডাউনলোড করা যাচ্ছে নিচের লিংক থেকেhttp://www.forumswindows8.com/windows-8-download/

৫০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল অ্যাপলের মূলধন

অ্যাপলের বাজার মূলধন প্রথমবারের মতো ৫০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এক খবরে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। এর ফলে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানিতে পরিণত হলো অ্যাপল। এর আগে পুঁজিবাজারে কেবল পাঁচটি মার্কিন কোম্পানির বাজার মূলধন পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। কোম্পানিগুলো হলো এক্সন, মাইক্রোসফট, সিসকো সিস্টেমস, ইনটেল ও জেনারেল ইলেকট্রিক।
অ্যাপলের আইপ্যাড ও আইফোনের জনপ্রিয়তার কারণে অ্যাপল পণ্যের বিক্রি ও মুনাফা বেড়ে গেছে। আর তাই প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূলধনও বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষকেরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে চলতি বছর অ্যাপল ৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মুনাফা করবে। অথচ ১৯৯৭ সালে সম্ভাব্য দেউলিয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ছিল অ্যাপল। এ সময় অ্যাপলের প্রতিটি শেয়ার মূল্য ছিল ৩.১৯ ডলার। চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার নাসদাক শেয়ারবাজারে অ্যাপলের শেয়ারের মূল্য ছিল ৫৪২.৪৪ ডলার।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, অ্যাপল মার্চ মাসে নতুন সংস্করণের আইপ্যাডের ঘোষণা দিতে পারে। এ সংস্করণটি বাজারে এলে অ্যাপলের জনপ্রিয়তা আরও বাড়তে পারে।

Sunday, February 26, 2012

আইফোন-অ্যানড্রয়েডের অ্যাপ্লিকেশন বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বর্তমান সময়ের আলোচিত সফটওয়্যার। এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে মোবাইল ফোনে নানা ধরনের খেলা ও মিউজিক ডাউনলোড এবং বিজ্ঞাপন দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজ করা যায়। অ্যাপলের আইফোন, গুগলের অ্যানড্রয়েড, নকিয়া ও ব্ল্যাকবেরিসহ বিশ্বের নামিদামি মোবাইল ফোনে এ সফটওয়্যার প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত এ সফটওয়্যার তৈরিতে এগিয়ে রয়েছে। এগিয়েছে বাংলাদেশও।
সম্প্রতি স্মার্ট ফোনের ব্যাপক প্রসার ঘটায় বিশ্বব্যাপী অ্যাপ্লিকেশনের বিশাল বাজার সৃষ্টি হয়েছে। এ বাজারে নিজেদের জায়গা করে নিতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশের সফটওয়্যার উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশের মেধাবী ও দক্ষ জনবলকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের নামিদামি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।
আশার কথা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের মতো উন্নত দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন নতুন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে বাংলাদেশের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। বিদেশে এসব অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাপক জনপ্রিয়তাও রয়েছে। বিশ্বের তিন কোটির বেশি গ্রাহক বাংলাদেশের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করছেন বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরো বাড়বে বলে তাঁদের ধারণা। বর্তমানে ভারতের তৈরি অ্যাপ্লিকেশনের ডাউনলোডের সংখ্যা ১০ কোটি।
সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমিতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বা বেসিসের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ৬০টির মতো প্রতিষ্ঠান মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে। এর মধ্যে বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠান ৪৬টি। এ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ৫০০ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, যা থেকে বছরে প্রায় ২৩ কোটি ডলার আয় করছে এ প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশে প্রথম আইফোন ও আইপ্যাড টাচ অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজ শুরু করে যেসব প্রতিষ্ঠান সেগুলোর মধ্যে রাইজআপ ল্যাবস লিমিটেড অন্যতম। ২০০৯ সালের অক্টোবরে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকার উত্তরায় ছোট একটি কার্যালয় নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরশাদুল হক। অল্প সময়ে এ খাতের সর্বাধিক উপার্জনকারী প্রতিষ্ঠানের একটিতে পরিণত হয় রাইজআপ ল্যাবস। বর্তমানে সারা বিশ্বে তাদের দুই কোটির বেশি ডাউনলোডকারী রয়েছে।
দেশে এ ধরনের কাজ শুরু হয় মূলত ২০০৫ সালের দিকে। তখন হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ কাজ শুরু করে। তবে এর সফলতা আসতে শুরু করে ২০০৯ সালের দিকে।
এ বিষয়ে রাইজআপ ল্যাবসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরশাদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজেদের উদ্যোগে কাজ শুরু করে। পরে কিছু প্রতিষ্ঠান এসব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি শুরু করে বিদেশি কম্পানির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে। এসব অ্যাপ্লিকেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অ্যাপল, গুগল, নকিয়া, স্যামসাং ও ব্ল্যাকবেরিসহ নামিদামি বিভিন্ন ফোন কম্পানি এ অ্যাপ্লিকেশনের বড় ক্রেতা। এর মাধ্যমে বছরে ২০ থেকে ২৩ কোটি ইউএস ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, রাইজআপ ল্যাবসের ১০০টির বেশি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৬০ জন দক্ষ সফটওয়্যার ডিজাইনার ও প্রোগ্রামার কাজ করছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে সেরা দশের তালিকায় উঠে এসেছে রাইজআপের কোনো কোনো অ্যাপলিকেশন। এর কোনো কোনো অ্যাপ্লিকেশন প্রায় ৭০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বছরে প্রায় ১০ লাখ ডলার আয় করছে। এ খাতের আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান জেনুইটি সিস্টেম লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ৩৭০টি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার রয়েছে। তবে এ প্রতিষ্ঠান মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের বাইরে অন্যান্য সফটওয়্যারও তৈরি করে থাকে।
আরো যেসব প্রতিষ্ঠান এ খাতে ভালো কাজ করছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রলগ বাংলাদেশ লিমিটেড, সেন্টিনেল বিডি লিমিটেড, লিভিও ও টেকনোবিডি ওয়েব সলিউশনসহ (প্রাইভেট) বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের গড়ে ১৫ থেকে ২০টি করে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার রয়েছে। এ অগ্রগতিকে দেশের সফটওয়্যার উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতের নতুন একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করছেন উদ্যোক্তারা।
দেশে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরির অগ্রগতি সম্পর্কে কথা হয় লিভিওর প্রতিষ্ঠাতা হাসিন হায়দারের সঙ্গে। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, এ খাতে বর্তমানে বেশ ভালো কাজ হচ্ছে। আইফোন ও অ্যানড্রয়েডের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার উপযোগী অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে সক্ষম হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানগুলো। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এ ব্যবসা থেকে বেশ ভালো উপার্জনের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তবে এ খাতের বর্তমান সংকট ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে সেগুলোকে দূর করার দাবি জানান এই সফটওয়ার ব্যবসায়ী।
উদ্যোক্তারা বলছেন, দক্ষ জনশক্তির অভাব এ খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণের সবচেয়ে বড় বাধা। এর ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ছোট উদ্যোক্তারা। কেননা বড় উদ্যোক্তাদের পক্ষে একটু বেশি বেতনে লোক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হলেও ছোট উদ্যোক্তারা তা পারছেন না। ফলে এ খাতের ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রথম দিকে বেশ চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়ে টেকনোবিডি ওয়েব সলিউশনের (প্রাইভেট) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ ইমরুল কায়েস কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। তবে এর জন্য এখনই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ভবিষ্যতে এ খাতের দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি পূরণে আগে থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্প্রসারণ করতে হবে। এ জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। পাশাপাশি এ খাতে ক্যারিয়ার গঠনে আগ্রহীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ইমরুল কায়েস।
কায়েস আরো বলেন, 'দেশের সফটওয়্যার ডেভেলপারদের তৈরি অ্যাপ্লিকেশন বিশ্ব বাজারে জায়গা করে নিলেও দেশের বাজারে এর থেকে উপার্জন করার ক্ষেত্র এখনো তৈরি হয়নি। অথচ এ খাতে স্থানীয় গ্রাহকদের কাছ থেকে অনেক বেশি উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।' তিনি আরো বলেন, 'আমাদের দেশের গ্রাহকদের রুচি সম্পর্কে আমরাই ভালো জানি। তাঁদের ব্যবহার উপযোগী অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা আমাদের জন্য বেশ সহজ। কিন্তু দেশে এখন পর্যন্ত এ খাত থেকে উপার্জিত অর্থ তুলে আনার পথ বের করা যায়নি।' তবে মোবাইল কনটেন্ট প্রোভাইডারদের মত, মোবাইল অপারেটর কম্পানি কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে ট্যারিফ (মূল্য) নেওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে এ খাতটিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।