প্রথম আলোঃ
প্যাটেন্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নেদারল্যান্ডের আদালতে স্যামস্যাংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় জয় পেয়েছে অ্যাপল। স্যামস্যাংয়ের গ্যালাক্সি ট্যাব, হুবহু আইপ্যাডের অনুকরণ করে বানানো হয়েছিল অভিযোগ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশের আদালতে এই মামলা দায়ের করেছিল অ্যাপল ইনকরপোরেশন। ফলে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে নেদারল্যান্ডসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে গ্যালাক্সি ট্যাবসহ তিনটি মডেলের ফোন বিক্রি করতে পারবে না স্যামস্যাং। অন্যদিকে জার্মানির আদালতে দায়ের করা এ সংক্রান্ত আরেকটি মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছরের মার্চ মাস থেকে এই পেটেন্টবিষয়ক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ দুই প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও স্যামসাং। সে সময় অ্যাপল অভিযোগ করেছিল, ‘স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ট্যাব দেখতে অনেকটাই আইপ্যাডের মতো। এ ছাড়া তাদের হার্ডওয়্যারের আকৃতি, ব্যবহারের সুবিধা এমনকি প্যাকেজিংয়ের পদ্ধতিও অ্যাপলের মতো।’ তবে অ্যাপলের সব অভিযোগের সঙ্গে একমত হতে পারেননি নেদারল্যান্ডের আদালত। তাঁরা তাঁদের রায়ে জানিয়েছেন, স্যামস্যাংয়ের গ্যালাক্সি এস, গ্যালাক্সি এস২ ও এইস মডেলের স্মার্টফোনগুলো অ্যাপলের একটি প্যাটেন্ট লঙ্ঘন করেছে। তবে অ্যাপলের করা অন্য দুটি প্যাটেন্ট তাঁরা লঙ্ঘন করেননি। এ ছাড়া অ্যাপলকে হুবহু নকল করেও প্রতিষ্ঠানটি কোনো পণ্য তৈরি করেনি বলেও মত দিয়েছেন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে স্যামস্যাং।
Sunday, August 28, 2011
গুগল আনছে টেলিভিশন সেবা
প্রথম আলোঃ
এবার গুগল ইনকরপোরেশন ইউরোপের বাজারে চালু করতে যাচ্ছে টেলিভিশন সেবা। আগামী বছরের শুরুর দিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ সেবা চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রধান এরিক স্মিথ। ২০১০ সালের অক্টোবরে গুগল যুক্তরাষ্ট্রে তাদের টেলিভিশন সেবা চালু করেছিল। তিনি আরও বলেন, ‘অ্যান্ড্রয়েড যেমন অনেক কিছুতেই উন্মুক্ততা এনেছে, ঠিক তেমনি গুগল টিভির মাধ্যমে টেলিভিশন শিল্পকে আমরা উন্মুক্ত করতে পারব বলে আশা রাখি।
এবার গুগল ইনকরপোরেশন ইউরোপের বাজারে চালু করতে যাচ্ছে টেলিভিশন সেবা। আগামী বছরের শুরুর দিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ সেবা চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রধান এরিক স্মিথ। ২০১০ সালের অক্টোবরে গুগল যুক্তরাষ্ট্রে তাদের টেলিভিশন সেবা চালু করেছিল। তিনি আরও বলেন, ‘অ্যান্ড্রয়েড যেমন অনেক কিছুতেই উন্মুক্ততা এনেছে, ঠিক তেমনি গুগল টিভির মাধ্যমে টেলিভিশন শিল্পকে আমরা উন্মুক্ত করতে পারব বলে আশা রাখি।
লেবেলসমূহ:
গুগল আনছে টেলিভিশন সেবা
Friday, August 26, 2011
What is a Pointer
A Pointer does not store a value directly like variables. It simply store the reference of another value. The variable the pointer is refers to is called "pointee".
#includeint main(){ int a; int *ptr; a=42; ptr=&a; printf("%d\n",*ptr); return 0; }
লেবেলসমূহ:
Pointer
৮৫ ভাগ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিয়ম মানছে না
প্রথম আলঃ ২৬-০৮-২০১১
দেশের ওষুধ উৎপাদনকারী ১৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২২টি মানসম্মত ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করছে। বাকিগুলো ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পেলেও খেয়ালখুশিমতো চলছে। ২০০৯ সালের গোড়ার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রিড ফার্মাসিউটিক্যালসের প্যারাসিটামল ওষুধ খেয়ে ২৪ শিশু কিডনি বিকল হয়ে মারা যায়। ওই ঘটনার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দেশের ওষুধ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মান নির্ণয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন আ ব ম ফারুকের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। প্রায় দেড় বছর ধরে বাংলাদেশের সব কটি প্রতিষ্ঠান ঘুরে কমিটি প্রতিবেদন পেশ করেছে। কমিটির প্রধান আ ব ম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৮২ ও ২০০৫ সালের ওষুধনীতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস’ (উত্তম উৎপাদন কৌশল—জিএমপি) অনুসরণের নির্দেশনা ছিল। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানই নিয়মকানুন মানছে না। এই প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব ওষুধ উৎপাদন করছে, সেগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। হয়তো অনেকে এসব ওষুধের কারণে মারাও যাচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুক্তাদির প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠন কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুপারিশ করবে না। তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সুযোগ যেকোনো প্রতিষ্ঠান নিতে পারে। কমিটির মন্তব্য, ডি, ই ও এফ শ্রেণীভুক্ত ৬২টি কারখানা উত্তম উৎপাদন-কৌশল অনুযায়ী অনুমোদনযোগ্য নয় এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাদের সমস্যা প্রচুর এবং তাদের পক্ষে কার্যকর ও নিরাপদ ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব নয়। প্যারাসিটামল সিরাপে ব্যবহূত প্রোপাইলিন গ্লাইকলের পরিবর্তে ভুলক্রমে ডাই ইথালিন গ্লাইকল ব্যবহার করা হলেও তা নির্ণয়ের কোনো ক্ষমতা নেই এদের। এ ছাড়া যে ওষুধে ৫০০ মিলিগ্রাম থাকার কথা, সে ওষুধে আদতে কতটুকু কী আছে, তাও প্রতিষ্ঠানগুলো পরিমাপ করতে পারছে না।
২০০৮ সালে রিড ফার্মার প্যারাসিটামলে ডাই ইথালিন গ্লাইকল মেশানো হয়েছিল। এই রাসায়নিকটি ট্যানারিশিল্প ও গ্লাস তৈরিতে ব্যবহার হয়। ডাই ইথালিন গ্লাইকলের কারণে শিশুদের কিডনি বিকল হয় বলে চিকিৎসকেরা জানান। প্রোপাইলন গ্লাইকলের দাম বেশি হওয়ায় রীড ফার্মা সিরাপে ডাই ইথালিন গ্লাইকল মিশিয়েছিল। অন্যদিকে ডি, ই এবং এফ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানে ওয়াসার পানি সরাসরি ব্যবহার করা হচ্ছে। এদের তাপ ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়—এমন কোনো সুষ্ঠু সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। যেসব উপকরণ নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় (৮-২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) সংরক্ষণ করতে হয়, সেসব উপকরণ নষ্ট হয়ে যায়।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, পরিদর্শনের সময় দেখা গেছে, মানহীন প্রতিষ্ঠানগুলো ওষুধের কাঁচামাল, শ্রমিকের কাপড়চোপড়, বস্তা-কাগজ—সব এক জায়গায় রাখছে। পানি রাখছে বালতি, মগ, বড় পাত্রের মধ্যে। হাতাকাটা গেঞ্জি ও প্যান্ট পরে ওষুধ তৈরি করছেন শ্রমিকেরা। অথচ বিশেষ ধরনের পোশাক পরে ফার্মাসিস্টদের এ কাজ করার কথা।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ: বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান আ ব ম ফারুক বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ভূমিকা খতিয়ে দেখা এ কমিটির উদ্দেশ্য ছিল না। তবে পরিদর্শনের সময় তারা দেখেছে, অধিদপ্তর ২৬১টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিলেও বাস্তবে ১৯৩টি প্রতিষ্ঠান আছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো অস্তিত্বই নেই।
দেশের ওষুধ উৎপাদনকারী ১৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২২টি মানসম্মত ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করছে। বাকিগুলো ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পেলেও খেয়ালখুশিমতো চলছে। ২০০৯ সালের গোড়ার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রিড ফার্মাসিউটিক্যালসের প্যারাসিটামল ওষুধ খেয়ে ২৪ শিশু কিডনি বিকল হয়ে মারা যায়। ওই ঘটনার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দেশের ওষুধ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মান নির্ণয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন আ ব ম ফারুকের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। প্রায় দেড় বছর ধরে বাংলাদেশের সব কটি প্রতিষ্ঠান ঘুরে কমিটি প্রতিবেদন পেশ করেছে। কমিটির প্রধান আ ব ম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৮২ ও ২০০৫ সালের ওষুধনীতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস’ (উত্তম উৎপাদন কৌশল—জিএমপি) অনুসরণের নির্দেশনা ছিল। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানই নিয়মকানুন মানছে না। এই প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব ওষুধ উৎপাদন করছে, সেগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। হয়তো অনেকে এসব ওষুধের কারণে মারাও যাচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুক্তাদির প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠন কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুপারিশ করবে না। তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সুযোগ যেকোনো প্রতিষ্ঠান নিতে পারে। কমিটির মন্তব্য, ডি, ই ও এফ শ্রেণীভুক্ত ৬২টি কারখানা উত্তম উৎপাদন-কৌশল অনুযায়ী অনুমোদনযোগ্য নয় এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাদের সমস্যা প্রচুর এবং তাদের পক্ষে কার্যকর ও নিরাপদ ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব নয়। প্যারাসিটামল সিরাপে ব্যবহূত প্রোপাইলিন গ্লাইকলের পরিবর্তে ভুলক্রমে ডাই ইথালিন গ্লাইকল ব্যবহার করা হলেও তা নির্ণয়ের কোনো ক্ষমতা নেই এদের। এ ছাড়া যে ওষুধে ৫০০ মিলিগ্রাম থাকার কথা, সে ওষুধে আদতে কতটুকু কী আছে, তাও প্রতিষ্ঠানগুলো পরিমাপ করতে পারছে না।
২০০৮ সালে রিড ফার্মার প্যারাসিটামলে ডাই ইথালিন গ্লাইকল মেশানো হয়েছিল। এই রাসায়নিকটি ট্যানারিশিল্প ও গ্লাস তৈরিতে ব্যবহার হয়। ডাই ইথালিন গ্লাইকলের কারণে শিশুদের কিডনি বিকল হয় বলে চিকিৎসকেরা জানান। প্রোপাইলন গ্লাইকলের দাম বেশি হওয়ায় রীড ফার্মা সিরাপে ডাই ইথালিন গ্লাইকল মিশিয়েছিল। অন্যদিকে ডি, ই এবং এফ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানে ওয়াসার পানি সরাসরি ব্যবহার করা হচ্ছে। এদের তাপ ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়—এমন কোনো সুষ্ঠু সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। যেসব উপকরণ নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় (৮-২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) সংরক্ষণ করতে হয়, সেসব উপকরণ নষ্ট হয়ে যায়।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, পরিদর্শনের সময় দেখা গেছে, মানহীন প্রতিষ্ঠানগুলো ওষুধের কাঁচামাল, শ্রমিকের কাপড়চোপড়, বস্তা-কাগজ—সব এক জায়গায় রাখছে। পানি রাখছে বালতি, মগ, বড় পাত্রের মধ্যে। হাতাকাটা গেঞ্জি ও প্যান্ট পরে ওষুধ তৈরি করছেন শ্রমিকেরা। অথচ বিশেষ ধরনের পোশাক পরে ফার্মাসিস্টদের এ কাজ করার কথা।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ: বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান আ ব ম ফারুক বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ভূমিকা খতিয়ে দেখা এ কমিটির উদ্দেশ্য ছিল না। তবে পরিদর্শনের সময় তারা দেখেছে, অধিদপ্তর ২৬১টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিলেও বাস্তবে ১৯৩টি প্রতিষ্ঠান আছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো অস্তিত্বই নেই।
Thursday, August 25, 2011
সরে দাঁড়ালেন অ্যাপলের প্রধান স্টিভ জবস
প্রথম আলোঃ ২৫-০৮-২০১১
বিশ্বখ্যাত ‘টেকনোলজি জায়ান্ট’ অ্যাপল ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্টিভ জবস। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন চিফ অপারেটিং অফিসার টিম কুক। স্টিভ জবস অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে জবস প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন। আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
লেবেলসমূহ:
সরে দাঁড়ালেন অ্যাপলের প্রধান স্টিভ জবস
Subscribe to:
Posts (Atom)